১০ Jul ২০২৫, ০২:২৮ অপরাহ্ন, ১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আমতলী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদের প্রতিবাদ: বক্তব্য রাখলেন সাবেক অধ্যক্ষ পীর সাহেব আবুবক্কার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ দর্শনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের বাবুর বাড়িতে নাহিদ-সারজিস-হাসনাত- আকতার ভারতে সেতু ভেঙে একাধিক গাড়ি নদীতে, নিহত ৯ ঝালকাঠিতে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করলেন মা-ছেলে বরিশালে বিএমপিতে সদ্য যোগদানকৃত  কনস্টেবল ব্যাচ/১৪ এর ওরিয়েন্টেশন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত।  বরিশালে ১৬১ পিচ ইয়াবাসহ  সহসহকারী আইনজীবী আটক  বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বিলুপ্তির পথে মাটির মটকি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে-নাহিদ ইসলাম গৌরনদী‌তে ১৬১ পিচ ইয়াবাসহ বরিশাল জজকোর্টের আইনজী‌বি সহকা‌রি শ‌হিদুল বেপারী আটক দর্শনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের মরদেহ ৭ দিনের মাথায় রাতে ফেরত
অষ্টমীতে প্রথম দেখা, চার ঘণ্টায় বিয়ে! সিনেমাকে হার মানাল যুগলের লাভ স্টোরি

অষ্টমীতে প্রথম দেখা, চার ঘণ্টায় বিয়ে! সিনেমাকে হার মানাল যুগলের লাভ স্টোরি

অনলাইন ডেস্ক : বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো মানেই উৎসব, মনের দেওয়া-নেওয়া। পুজোর সময় প্রেমে পড়েননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দায়। কিন্তু তাই বলে যেদিন দেখা সেদিনই বিয়ে! এমনটা শুনেছেন? অঘটনটা এবারের পুজোয় ঘটেই গিয়েছে। অষ্টমীর দিনই প্রথমবার সাক্ষাৎ, আর চার ঘণ্টার মধ্যে প্রীতমাকে একেবারে বউ বানিয়ে বাড়ি নিয়ে এলেন সুদীপ।

বিশ্বাস না হওয়ার মতোই ঘটনা। সিনেমার চিত্রনাট্যকেও যেন হার মানায় এই লাভ স্টোরি। তাহলে একটু খোলসে করা বলা যাক। মাস তিনেক আগে সোশ্যাল সাইটে আলাপ হয়েছিল সুদীপ ঘোষাল ও প্রীতমা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের। প্রথম থেকেই প্রীতমাকে মনে ধরেছিল সুদীপের। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকে ভিডিও কলের মধ্যে দিয়ে মন দেওয়া-নেওয়া হয়ে যায়। ঠিক হয়েছিল, ভারচুয়াল দুনিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে পুজোয় অ্যাকচুয়াল সাক্ষাৎটা করেই ফেলবেন দু’জনে। যদিও সেভাবে কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। অষ্টমীতে হঠাৎই দেখাটা হয়ে যায় দুজনের। কথাবার্তা-আড্ডা আর হাতে ঠোঁটের ছোঁয়া লাগতেই অনুভূতি গাঢ় হয়ে ওঠে। ঠিক করে ফেলেন, আর দেরি নয়। শুভ কাজটা আজই সেরে ফেলবেন। ওঠ ছুরি তোর বিয়ে ঢঙেই হিন্দমোটরের এক পুজো মণ্ডপে গিয়ে প্রীতমার সিঁথিতে সিঁদুর ভরে দেন সুদীপ। হাসি মুখে মাদুর্গাকে সাক্ষী রেখে সুদীপের সঙ্গে সাতজন্ম সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন প্রীতমাও। তাঁদের সিদ্ধান্তকে উৎসাহ দিতে পাশে পেয়েছিলেন বন্ধুবান্ধবদেরও।

কিন্তু পরিবার? এমন অকস্মাৎ বিয়েতে তাঁদের কি প্রতিক্রিয়া? সুদীপ জানাচ্ছেন, দুই পরিবারই তাঁদের সিদ্ধান্তে অত্যন্ত খুশি। বউমাকে বুকে টেনে নিয়েছেন শাশুড়ি। জামাইকেও বেশ মনে ধরেছে প্রীতমার বাবা-মায়ের। সুদীপের মা বলছেন, “ছেলে বাড়ি ঢুকেই যখন বলল ও বিয়ে করে এসেছে, একটু অবাকই হয়েছিলাম। তবে বউমাকে খুব পছন্দ হয়েছে।” নতুন সংসারকে ভালবেসে ফেলেছেন প্রীতমাও। স্বয়ং মাদুর্গার আশীর্বাদ না হলে কি আর প্রেমকাহিনির এমন হ্যাপি এন্ডিং সম্ভব?

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019