০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রবিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আ’বরা’র ফাহাদ হ’ত্যা’কাণ্ড নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি।আজকের ক্রাইম নিউজ পাঠকদের জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহ তুলে ধরা হলো-
আমার সন্তানের হাতের যে জায়গাটা তোমাদের আঘাতে আঘাতে নীল হয়ে আছে। তোমরা জানো বাবারা? ঠিক ওখানটাতেই ওকে ধরে আমি স্কুলে নিয়ে যেতাম।ওই যে তোমাদের কিল ঘুষিতে ও অমন করে চোখ বন্ধ করে আছে। বাবা তোমরা কি জানো? ও ঘুমুলেই আমি চোখে চুমু খেতাম, চাইতাম আরেকটু ঘুমিয়ে থাকুক।
কিন্তু… কিন্তু তোমারা তো ওকে চিরতরে ঘুম পারিয়ে দিলে। যখন আমার উদরে ঢিবঢিব করে উঠেছিল একটা প্রাণ- দশমাস সে কী দূর্বিষহ যন্ত্রণা, তার পর কত নির্ঘুম রাত, তবুও যখন ওর মুখটা দেখলাম সব কষ্ট কোথায় যেন উড়ে গেলো!
আমার মনে ঘুরে বেড়াতো ঝলমলে সব স্বপ্ন, একদিন আমার ছেলেটা বিশ্বজয় করবে। তোমরা বুঝি জানতে আমার স্বপ্ন …? তাইতো মৃত্যু পরওয়ানা দিয়ে সারা দেশ জুড়ে জানিয়ে দিলে আমার সন্তানের নামটা..?আচ্ছা বাবারা মৃত্যুর সময় ওর কেমন লেগেছিল? আমার বাবা কি পানি খেতে চেয়েছিল? তোমারা কী কেউ ওর বুকের উপরে উঠেছিলে?
ওর মাথায় বাড়ি দিয়েছিলে রড দিয়ে? আহা!! বাবা আমি যদি একবার জানতাম.. বলতাম আমায় টুকরো টুকরো করে ফেলো কিন্তু আমার মানিককে আর মেরো না। ছোট্ট ছেলেটা আমার অন্ধকার বড্ড ভয় পেত, যদি এতটুকু করুনা হত তোমাদের, যদি তোমরা মানুষ হতে… বলতাম মেরো না.. আর মেরো না।
ওই গালে আমার অনেক চুমু, ঐ মুখে আমি কত নিজ হাতে খাইয়ে দিয়েছি, ঐ পিঠে সাবান দিয়ে গোসল করিয়েছি আমি, কত জড়িয়ে ধরেছি বুকে, মরে যাচ্ছে আমার ছেলেটা। বাবারা দোহাই লাগে- আর মেরো না.. মেরো না…