১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিএমপি’র শ্রদ্ধা নিবেদন প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীর স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ পালাতে গিয়ে প্রাণ গেল আসামির, তিন পুলিশকে আটকে রেখেছেন স্থানীয়রা ঝালকাঠির রাজাপুরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবি করায় হামলা, আহত ৭ দর্শনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৪ বানারীপাড়ায় ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময় বরিশাল মেট্রো পলিটন বিএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও নাসিরের স্ত্রী ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বড় ভাই সুন্দরবন সাব সেক্টরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল গফফার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেদিন পাক সেনাদের কাছে মাথা নত করিনি
উজিরপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি ভেঙ্গে গেলে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রাণে বেঁচে যায়

উজিরপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি ভেঙ্গে গেলে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রাণে বেঁচে যায়

অনলাইন ডেক্স উজিরপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি নদীর গর্ভে সম্পুর্ন রুপে বিলিন হয়ে গেছে। বিদ্যালয়টি পূজার জণ্য বন্ধ থাকায় বেঁেচ গেল শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের প্রান।

মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে গুঠিয়ার আশোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি এলাকাবাসীর চোখের সামনে বিলিন হয়ে যায়। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনটি রক্ষার জণ্য এলকার মানুষ নানা রকমের চেষ্টা করে কোন লাভ হয়নি। ৩ মাস পূর্বে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন কালে ওই ভবনটি সচোখে দেখে তাৎক্ষনিক ভাবে ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার জণ্য নির্দেশ দিলে ২ মাস আগে ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাঙ্গনরোধে অস্থায়ী প্রকল্পর মাধ্যমে ঠিকাদার ৪৩ শত বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালানো হয়।

জানা যায়, সিডরের পরে ঐ ভাঙ্গন কবলিত আশোয়ার গ্রামের মানুষের আশ্রয়ার্থে ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার ভবনটি নির্মান করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে সন্ধ্যা নদীর ভয়াভহ করাল গ্রাসে কবলে পরে হানুয়া ও আশোয়ার গ্রামের প্রায় ২ শত পরিবার নদী গর্ভে সব হারিয়ে নিশ্ব হয়ে যায়। গত ২ বছর ধরে অব্যাহত ভাঙ্গনের কবলে পরে বিদ্যালয়টি।

কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রানপ্রিয় বিদ্যায়লটি রক্ষার জন্য মানবন্ধন কর্মসুচিও পালন করেছিল।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোসলেম আলি হাওলাদার জানিয়েছে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে তার চোখের সামনে প্রানপ্রিয় বিদ্যালয়টি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের ভিতরের মালামাল গুলো জীবনের ঝুকি নিয়ে এলাকার মানুষ আংশিক উদ্ধার করলেও ভবনটি এখন নদীর মধ্যে।

ঐ গ্রামের গৃহবধু রাবেয়া বেগম জানান, গত কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙ্গন আমাদের বাড়ী ঘর গ্রাস করে নিলেও আমরা প্রায়ই সাইক্লোন সেল্টারটিতে আশ্রয় নিয়েছি। সর্বশেষ আশ্রয় কেন্দ্রটিও নদী ভাঙ্গনে বিলিন হওয়ায় আমরা এখন নিশ্ব। ভবিষ্যতে ঝড় বন্যায় কোথায় আশ্রয় নিবো তা ভেবে পাচ্ছিনা। মনে হয় আজ থেকে আশ্রয়হীন হয়ে পরেছি।

স্থানীয় নাজিম খলিফা,আবুল হোসেন ফকির,জহির হাওলাদার ক্ষোভের সহিত অভিযোগ করে বলেন বিদ্যালয়টি রক্ষার জণ্য সরকারি সর্বশেষ প্রচেষ্টা জিও ব্যাগগুলি ভাঙ্গন কবলিত স্থানে না ফেলে কোন মতে দায় সাড়া ভাবে মাটির উপরে ফালানোর কারনে দ্রুত বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।

উপেজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা বেগম জানান, বিষয়টি শুনেছি আমরা অত্যান্ত মর্মাহত। বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019