২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৩ অপরাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বাগেরহাটে মোল্লাহাটে ‘অপহৃত তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিকউদ্ধার , আটক ৪ বাবুগঞ্জে রাস্তার বেহাল অবস্থা, দুর্ভোগে ৫ হাজার মানুষ সুন্দরবনে উপকূলে অভয়ারণ্যে বন কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে বিষ দিয়ে মাছ শিকার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়ার সময় বেঁধে দিল নয়াদিল্লি বরিশালে মেয়র হতে চান জাপা প্রার্থীও, করলেন মামলা রুমিন ফারহানার প্রশ্ন, নতুন দলের টাকা আসে কোথা থেকে? প্রবাসীর কন্যা মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা সেনাবাহিনী শ্রমিকদলনেতাসহ ১৮ নেতাকর্মীকে ধরে পুলিশে দিল,ছয়টি হাতবোমা উদ্ধার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলের সুন্দরবন ও নৌপথের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভা সুন্দরবনের উপকূলে ভেঙে পড়া সেতুতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে
সাঁতার কেটে দুটি খাল পার হয়ে তবেই স্কুলে যায় গরিব ঘরের অদম্য শিক্ষার্থী তসলিমা

সাঁতার কেটে দুটি খাল পার হয়ে তবেই স্কুলে যায় গরিব ঘরের অদম্য শিক্ষার্থী তসলিমা

অনলাইন ডেক্সঃ সাঁতার কেটে দুটি খাল পার হয়ে তবেই স্কুলে যায় গরিব ঘরের অদম্য শিক্ষার্থী তসলিমা।।।বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে স্কুল। সেই স্কুলে যেতে তাকে সাঁতার কেটে পার হতে হয় দুটি খাল। অথচ, তার বয়সের শিক্ষার্থীরা একটু সুযোগ পেলেই স্কুল পালায়। অথবা ছোট-খাটো অজুহাতে কামাই দেয় স্কুল।এই অদম্য শিক্ষার্থীর নাম তসলিমা খাতুন। সপ্তম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চর অনুপনগরে। সম্প্রতি, ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় পানি বেড়ে যায় পদ্মা ও মহানন্দা নদীর। এই মহানন্দার দুটি খাল পানিতে ভরে যায়। তাই স্কুলে যেতে তাকে সাঁতার কাটতে হয়।গরিব ঘরে জন্ম তসলিমার। সংসারে আট ভাই-বোন। যে গ্রামে বিদ্যালয়-ছুট শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি ও বাল্য বিয়ের প্রবণতা রয়েছে সেই গ্রামে থেকে ১৪ বছর বয়সী তসলিমা লেখাপড়ার জন্যে মেনে নিতে পারে যেকোনো কষ্ট। কেননা, সে জানে শিক্ষাই তাকে মুক্তি দিবে সব দুঃখ-দারিদ্র্য থেকে।আড়াই কিলোমিটার দূরে স্কুল। তাই প্রতিদিন আসা-যাওয়ায় তাকে পাঁচ কিলোমিটার চলাচল করতে হয়। পুরো পথ তাকে হাঁটতে ও সাঁতার কাটতে হয়। কিন্তু, এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তসলিমার।তসলিমা জানায়, বাবা মারা যাওয়ায় আমার বড় ভাই রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালায়। কিন্তু, তার আয়ও খুব বেশি না। তার তিন বোনের অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে গেলেও তার ইচ্ছা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে। তসলিমার৷ ভাষায়, “আমরা গরিব। নিজেরে শিক্ষিত করতে পড়ালেখা করতে চাই। পড়া শেষ করে যাতে চাকরি পাই।”তসলিমার বোন নাসিমা খাতুন বলেন, “আমরা সবাই চাই তসলিমা লেখাপড়া করুক। পড়ালেখা করে সে যেনো তার জীবনে সফল হতে পারে।”অনুপনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মাহতাবউদ্দিন বলেন, “তসলিমাকে কোনোদিন ক্লাস মিস করতে দেখি নাই। খালগুলো পানিতে ভরে গেলেও সে স্কুল ফাঁকি দেয়নি।”

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019