০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, সোমবার, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেক্স জখমের ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. রাজু নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে রাজুকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার রাজু উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামের আজাদ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদা না পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামের প্রবাসী আলা উদ্দিনের শিশু সন্তানকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও একাধিক মামলার আসামি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল তার সহযোগীদের নিয়ে এ ঘটনা ঘটান।
কিন্তু অপহরণে ব্যর্থ হয়ে প্রবাসী আলা উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান তারা। পরে আহত অবস্থায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভোলাকোট গ্রামের মোতাহের ও আলা উদ্দিন দুই ভাই আবুধাবিতে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ২০১৭ সালে মোতাহের দেশে আসলে যুবলীগ নেতা জুয়েল পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে মোতাহেরের পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। ভয়ে তখন দুই লাখ টাকা দেয়া হয়।
পরবর্তীতে দাবিকৃত বাকি তিন লাখ টাকা না দেয়ায় ফের হুমকি দেয়া হলে মোতাহের পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সম্প্রতি মোতাহের ও আলা উদ্দিন ভোলাকোট গ্রামে বাড়ি নির্মাণ করেন। এ কারণে তারা বাড়িতে আসলে জুয়েল ফের চাঁদার জন্য হুমকি দেন। কিন্তু টাকা না দেয়ায় জুয়েল তার সহযোগীদের নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় আলা উদ্দিনের শিশু সন্তান মনিকাকে অপহরণের চেষ্টা চালান। এতে বাধা দিলে মা ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় রাতেই আলা উদ্দিনের ভাই মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা জুয়েলকে প্রধান করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে ভোলাকোট গ্রাম থেকে মামলার আসামি রাজুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গ্রেফতার রাজু ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।