স্বামী সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকে অভিযোগ তুলে বিয়ে বিচ্ছেদ করিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু, সন্দেহ থেকে যায় স্বামীর মনে। রহস্য মেলাতে মাঠে নামেন এক বেসরকারি গোয়েন্দা। পরে দেখা যায়, স্বামীর কাজের ব্যস্ততা বাহানা মাত্র, আসলে এক সহকর্মীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর। এর জন্যই ভেঙে গেছে তাদের ১২ বছরের সাজানো সংসার।
প্রতারিত হয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী স্বামী। আর সেখানেই মিলে যায় জ্যাকপট! অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই স্বামীকে সাড়ে সাত লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ছয় কোটি ৩৪ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ঘটেছে এ ঘটনা।
মার্কিন নাগরিক কেভিন হাওয়ার্ড জানান, স্ত্রীর সহকর্মী তাদের বাসায় এসেছিলেন। তারা একসঙ্গে রাতের খাবার খান, নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত অনেক বিষয় নিয়ে গল্প-গুজবও হয়েছিল।
পরে, স্ত্রীর কাছে প্রতারিত হয়ে ‘ভালোবাসার অবনমন’ আইনে আদালতে মামলা করেন কেভিন। এ আইনটি ১৮০০ সালে প্রণীত হয়েছিল। সেসময় স্ত্রীদের তাদের স্বামীর সম্পত্তি বলে মনে করা হতো।
এই আইনানুযায়ী, এক দম্পতির যে কোনো একজন অপরজনের বিরুদ্ধে বিবাহিত সম্পর্ক ভাঙার পেছনে ‘অন্যায় ও প্রতারণার’ অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করতে পারবেন। আইনটি নর্থ ক্যারোলিনা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আর মাত্র পাঁচটি রাজ্যে প্রচলিত আছে- হাওয়াই, মিসিসিপি, নিউ মেক্সিকো, সাউথ ডাকোটা ও উতাহ।
কেভিন বলেন, আমি মামলা করেছি যেন সবাই বুঝতে পারে বিয়ের পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে, যখন সবার নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ।
তার আইনজীবী সিনডি মিলস প্রতি বছর এ ধরনের অন্তত একটি মামলায় লড়েন। ২০১০ সালেই একই ধরনের মামলায় এক অভিযোগকারীকে তিনি ৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার পেতে সাহায্য করেছেন।
একই বছর, নর্থ ক্যারোলিনার এক আদালতে স্বামীর প্রেমিকার বিরুদ্ধে তাদের ৩৩ বছরের বিবাহিত জীবন ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ এনে এক নারী পেয়েছেন নয় মিলিয়ন ইউএস ডলার।
আইন সংস্থা ভ্যাভোনিজের মতে, এই আইনে প্রতি বছর নর্থ ক্যারোলিনায় দুই শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2024 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.