১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বৃহষ্পতিববার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাটারিচালিত রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা ও বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী।
তিনি ও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারীরা জানান, আমরন অনশনে শ্রমিকদের অনড় অবস্থান দেখে জেলা বাসদের আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমন, গণফোরামের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট হিরন কুমার দাস মিঠু, আনোয়ার জাহিদ, সনাকের সভাপতি অধ্যাপক শাহ-সাজেদা, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পুষ্প চক্রবর্তীসহ একটি প্রতিনিধি দল বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে আজ বৈঠকে বসেন।
পরে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের পাশাপাশি নির্ধারিত রুট দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচলের সিদ্ধান্ত হয় এবং জব্দকৃত ব্যাটারিগুলো আদালতের মাধ্যমে ছাড়িয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সন্ধ্যায় তারা অনশনস্থল নগরের অশ্বিনী কুমার হলে এসে এ বিষয়গুলো জানালে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এসময় প্রতিনিধিদল আন্দোলনকারীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙ্গান।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ খায়রুল আলম বলেন, আদালতের দেয়া সিদ্ধান্তে হলুদ ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিক্সা অবৈধ। এরমধ্যে ব্যাটারি চালিত রিক্সার কোন অনুমোদন না থাকায় তা আমরা গোটা নগর থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছি। তবে যেহেতু হলুদ অটোরিক্সার লাইসেন্স সিটি করপোরেশন দিয়েছিলো এবং এরসাথে বহু লোকে জড়িত রয়েছে, তাই সেগুলো একাবারে উচ্ছেদ না করে যানজট নিরসরনের লক্ষে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান স্যারের সাথে দেখা করে ব্যাটারি চালিত রিক্সার সাথেও অনেকে জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। তাই তিনি এগুলোও একবারে গোটা মেট্রোপলিটন এলাকায় চলাচল বন্ধ না করার জন্য বলেছেন।
সেই সূত্র ধরে ব্যাটারি চালিত রিক্সাগুলোকে নির্ধারিত সড়কে এমনভাবে চালাতে বলা হয়েছে যাতে জানজট সৃষ্টি না হয়। সেই হিসেবে রিক্সাগুলো চালানোর নির্ধারিত সড়ক থাকছে। আর যেহেতু আমাদের সড়কে নিয়মিতো অভিযান চলছে, সেই হিসেবে নিয়ম অমান্য করলে তাদেরই লোকসান হবে। আর অভিযানে রিক্সার জব্দ ব্যাটারিগুলো আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের সেখান থেকে নিয়মানুযায়ী ব্যাটারিগুলো ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তবে পর্যায়ক্রমে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় অবৈধ যানবাহন চালাতে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত এসব রিক্সার শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।