০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, মঙ্গলবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুষ্টিয়ার খোকসায় বিধবা মা ও তার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক গ্রাম পুলিশ সদস্য (চৌকিদার) ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিলেও বিধবা ওই মাকে ধর্ষণের ঘটনায় কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১ নম্বর খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্য মুক্তার হোসেন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধরে ওই বিধবাকে ধর্ষণ করে আসছে। এই সুযোগে মুক্তারের আপন ভাই মাহাবুল আলম টিক্কা বিধবার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত কয়েক দফায় ধর্ষণ করে।
ওই ছাত্রী বিষয়টি পরিবারের লোকদের জানালে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন। ইউএনও বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ভুক্তভোগী মা ও মেয়েকে থানায় পাঠান। পরে সোমবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় একটি এজাহার নিয়েছে পুলিশ। তবে মাকে ধর্ষণের ঘটনায় কোনো মামলা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ওই বিধবা মা।
স্কুলছাত্রীর চাচা জানান, টানা দুইদিন তদবিরের পর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার এহাজার নিয়েছে পুলিশ। তবে ছাত্রীর বিধবা মাকে ধর্ষণের বিষয়ে কোনো মামলা নেয়া হয়নি। একটি মামলায় গ্রাম পুলিশ ও তার ভাইকে আসামি করা হয়েছে। তবে বাদীর চাওয়া অনুযায়ী মামলা নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খোকসা ইউনিয়নের এক মেম্বর ধর্ষকদের পক্ষ নেয়ায় বিধবা মা ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের বিচার শেষ পর্যন্ত হবে কি-না এ নিয়ে শঙ্কায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এদিকে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধর্ষক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে অভিযুক্ত মুক্তার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে বলেন, ওই বিধবার সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। চাকরিচ্যুত করার জন্য তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ জানান, বিধবা মা ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রাম পুলিশ মুক্তার হোসেন ও তার ভাই মাহাবুল আলম টিক্কার বিরুদ্ধে সোমবার থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই গ্রাম পুলিশ মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন