০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রবিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক :: চাকরি দেওয়ার কথা বলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে।
‘ধর্ষণ’ ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘গর্ভপাত’ করানোর অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) দফতরে অভিযোগ করার পর ডিএমপি তদন্ত করে এ অভিযোগের আংশিক সত্যতা পায়।
আইজিপির দফতরে ওই নারীর করা অভিযোগ তদন্ত করেন ডিএমপির (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোনালিসা বেগম। তিনি বলেন, ওই নারীর অভিযোগের বিষয়টি আমি তদন্ত করেছি। আংশিক সত্যতা পেয়েছি। তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে। আমি ৮ থেকে ১০ দিন আগে ডিএমপিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
তদন্ত প্রতিবেদনটি গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দফতরের হেড কোয়ার্টার্সে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই নারীর অভিযোগ, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নওগাঁ থেকে ঢাকায় ডেকে এনে একটি হোটেলে তোলেন ওসি। সেখানে খাবারের সঙ্গে ‘চেতনানাশক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন’ ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ সদরদপ্তরে করা লিখিত অভিযোগে ওই নারী বলেছেন, চেতনা ফেরার ওপর ঘটনা বুঝতে পেরে তিনি প্রশ্ন করলে মাহমুদুল হক তাকে ‘ভালোবাসার কথা, বিয়ে করার আগ্রহের কথা’ বলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরেও বিভিন্ন সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বর্তমানে একটি ব্যাংকে চাকরিরত ওই নারী।
তিনি লিখেছেন, এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু মাহমুদুল হক তাকে গর্ভপাতে ‘বাধ্য করেন’। বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে অফিসে গেলে আবারও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।
এই পরিস্থিতিতে ওসি মাহমুদুলের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নারী। তার দাবি, মাহমুদুলের বাবা প্রথমে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখলেও পরে ছেলের সঙ্গে মিলে নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন। আর কোনো উপায় না দেখে এক সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে লিখেছেন ওই নারী।
গত অগাস্টের শুরুতে ওই নারী পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করলে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোনালিসা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মোনালিসা বলেন, তদন্তে অভিযোগের কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নেবে।