০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রবিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক :: নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারে ভুল চিকিৎসা ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মিলি বেগম (২৯) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এসময় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে স্বজনরা শান্ত হন। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলি বেগম ফতুল্লা থানাধীন শিবু মার্কেট পশ্চিম লামাপাড়া এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী শাহ আলম বলেন, মিলির কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড মাথাব্যথার জন্য মেডিসিন ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহের আলীকে দেখাই। তার পরামর্শ অনুযায়ী রাত পৌনে ১১টায় কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করি। ব্যথা না কমায় সোমবার ৩টার দিকে আবারও ডাক্তার ডাকতে গেলে হাসপাতালের লোকজন আবারও ওষুধ আনতে পাঠায়। ওষুধ নিয়ে আসার আগেই আমার স্ত্রীকে হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ফেলে। বলে দ্রুত হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন আপনার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। বিল পরিশোধ করার পর হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন আমার স্ত্রী মারা গেছে।
তিনি বলেন, ওই ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও টাকার জন্য হাসপাতালের লোকজন আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। হাসপাতাল থেকে সকালে ঢাকায় নিলে আমার স্ত্রী মরতো না। ওরা টাকার জন্য আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।
হাসপাতালের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু বক্কর বলেন, ডা. জাহের আলীর নির্দেশে রোগীকে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি এখানে আসেননি। পরে তার পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে ব্রেইন স্ট্রোক করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মিলি কেয়ার হাসপাতালে কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তা জানাতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্টাফ জানান, ডা. ফয়সাল নামে এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন মিলি। তবে ডা. ফয়সালকে হাসপাতালের কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি হাসপাতালের কেউ তার ফোন নম্বরটিও দিতে রাজি হননি।
চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।